সমালোচনার মুখে পদ ছাড়লেন আইডিয়াল অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদী
এডুকেশনটুডে রিপোর্ট: সমালোচনা ও মামলা কাঁধে নিয়ে মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ পদ ছাড়লেন ফাওজিয়া রাশেদী। তবে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন তিনি। গভর্নিং বডির সভায় তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করা হয়।
সোমবার (৯ অক্টোবর) সকালে গভর্নিং বডির সভাপতি এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব আবু হেনা মোরশেদ জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, উনি নিজেই সরে গেছেন। তাকে কিন্তু অপসারণ করা হয়নি। তিনি স্বেচ্ছায় ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেছেন। তার পদত্যাগপত্রটি গভর্নিং বডির সভায় উপস্থাপনের পর সবার সম্মতিতে তা গৃহীত হয়। এখন থেকে তিনি (ফাওজিয়া রাশেদী) আর প্রতিষ্ঠানের কেউ নন।’
জানা গেছে, আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রীকে বিয়ে করেন প্রতিষ্ঠানটির দাতা সদস্য মুশতাক আহমেদ। ঘটনা জানাজানি হয় জুনের শুরুতে। এ ঘটনায় ১ আগস্ট মুশতাকের বিরুদ্ধে প্রলোভন ও ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেন ছাত্রীর বাবা। মামলায় সহযোগিতার অভিযোগ এনে অধ্যক্ষ ফাওজিয়া রাশেদীকেও আসামি করা হয়।
৮ আগস্ট রাজধানীর গুলশান থানায় মামলাটি নথিভুক্ত হয়। গভর্নিং বডির সদস্য পদ থেকে সরে যান মুশতাক। এরপর ২০ আগস্ট শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে দুই মাসের ছুটিতে যান অধ্যক্ষ ফাওজিয়া। ওই সময়ই তিনি পদত্যাগপত্র দেন বলে জানিয়েছেন গভর্নিং বডির দুজন সদস্য।
গভর্নিং বডির একজন সদস্য জানান, ‘মুশতাক আহমেদের সঙ্গে অধ্যক্ষের সুসম্পর্ক ছিল। ছাত্রীর সঙ্গে প্রেম ও বিয়ের ঘটনায় অধ্যক্ষের যোগসাজশ রয়েছে—এমন অভিযোগ ওঠায় ফাওজিয়া রাশেদী চাপে ছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘ওই ঘটনার পর যতগুলো মিটিং হয়েছে, সেখানে তার (ফাওজিয়া রাশেদী) জন্য প্রতিষ্ঠানের ইমেজ ক্ষুণ্ণ হচ্ছে বলে অনেক সদস্য মতামত দেন। এ কারণে তিনি স্বেচ্ছায় পদ থেকে সরে যেতে পারেন।’
এদিকে সমালোচনা বা চাপে নয়- একান্ত ব্যক্তিগত কারণে পদত্যাগ করেছেন বলে জানান ফাওজিয়া রাশেদী। বলেন, ‘মানুষের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত থাকতে পারে না? এখানে কোনো চাপ বা সমালোচনার জন্য আমি দায়িত্ব ছাড়িনি। একান্ত ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে পদত্যাগ করেছি। কেউ আমাকে জোর করে সরাননি, কেউ বলেনওনি।’