উচ্চশিক্ষায় যে কারণে যাবেন নিউজিল্যান্ড

এডুকেশনটুডে ডেস্ক: নিউজিল্যান্ড বিদেশি শিক্ষার্থীদের কাছে উচ্চশিক্ষার আকর্ষণীয় স্থান। কারণ এ দেশটির বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর খ্যাতি বিশ্বজুড়ে। তাই পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে শিক্ষার্থীরা নিউজিল্যান্ডে পড়তে যায়। বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরাও উচ্চশিক্ষার জন্য বেছে নিতে পারেন এ দেশটিকে। চমৎকার প্রাকৃতিক পরিবেশ পরিমণ্ডিত পৃথিবীর অন্যতম দুর্নীতিমুক্ত এবং শান্তিপূর্ণ দেশ নিউজিল্যান্ড। নিউজিল্যান্ডের পরিবেশের মতই উচ্চশিক্ষার শ্রেষ্ঠত্ব রয়েছে বিশ্বব্যাপী ।
কেন যাবেন নিউজিল্যান্ডে?
পাহাড়-পর্বতে ঘেরা এই দেশটি ভৌগলিকভাবে ইউরোপের অন্যান্য দেশের মতই অর্থনৈতিক দিক থেকে অন্যতম এক ধনী রাষ্ট্র নিউজিল্যান্ড। মানুষের গড় মাথাপিছু আয় $৩১,০৬৭ ডলার। নিউজিল্যান্ড বিশ্বের দ্বিতীয় নিরাপদ দেশ। এছাড়াও নিউজিল্যান্ডের পাসপোর্ট দিয়ে বিশ্বের ১১২টি দেশে বিনা ভিসায় ভ্রমণ করা যায়, যা বৈশ্বিক পাসপোর্ট সূচকে ৬ঠ স্থানে রয়েছে। আরও গুরুত্বপূর্ণ হলো নিউজিল্যান্ডের নাগরিকরা বেশ বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বিদেশীদের সঙ্গে তাদের আচরণও একই রকমের। এর পাশাপাশি খুব সহজেই স্থায়ী নাগরিকত্ব লাভ করা যায় এ দেশটিতে।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো অতুলনীয় OS Ranking এবং Times Higher Ranking মতে নিউজিল্যান্ডের প্রতিটা বিশ্ববিদ্যালয়ই বিশ্বের প্রথম ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্ভুক্ত। উচ্চশিক্ষা পরবর্তী চাকুরির ক্ষেত্রেও নিউজিল্যান্ডের বাজার অত্যন্ত ঈর্ষনীয়। শতাংশের হিসেবে প্রায় ৯৩% ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা শেষ করে সরাসরি চাকুরিতে প্রবেশ করার সুযোগ পান। যা নিউজিল্যান্ডকে উচ্চশিক্ষার গন্তব্য হিসেবে অন্যতম দেশ হিসেবে আলাদা করে রাখে।
নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী লোকেরা উচ্চবিলাসী হলেও আপনি চাইলে সল্প খরচেই সবকিছু চালিয়ে নিতে পারবেন। কারণ নিউজিল্যান্ডের বসবাসের খরচ তুলনামূলকভাবে কম। শিক্ষার্থীরা সে দেশে মাসে ৩০ হাজার টাকারও কমে নিজেদের ভরণপোষণ করতে পারে। এছাড়া, খণ্ডকালীন চাকরি থেকে মাসিক খরচের চেয়ে বেশি পরিমাণ উপার্জনের সুযোগ রয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে স্নাতক, মাস্টার্স বা পিএইচডি ধাপে বিভিন্ন ধরণের বিষয়ে অধ্যায়নের সুযোগ রয়েছে। এ দেশের প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের জন্য সেরা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করে, বিশেষ করে যারা কৃষি, নির্মাণ এবং পর্যটন শিল্পে ক্যারিয়ার আগ্রহী। এছাড়া বিশ্বের অন্য দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্নাতক এবং মাস্টার্স প্রোগ্রামগুলোর জন্য তুলনামূলকভাবে টিউশন ফি কম।
নিউজিল্যান্ডে স্থায়ীভাবে বসবাসের পরিকল্পনা থাকলে সেখানে পিএইচডি শুরু করা সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত। আন্তর্জাতিক ছাত্রদের সেখানে স্থায়ী বসবাসের জন্য অনুপ্রাণিতও করছে দেশটি। পিএইচডি করার সময় সেখানে শিক্ষার্থীদের সীমাহীন ঘন্টার জন্য কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। এছাড়াও, ডিগ্রি অর্জনের জন্য আপনার নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ে উপস্থিতি এবং পরীক্ষায় বসার কোনো চাপ নেই। অনলাইনে সুপারভাইজারের সঙ্গে যোগাযোগ রেখে মাসে একবার সাক্ষাতের মাধ্যমে আপনি কোর্স শেষ করতে পারবেন।
পিএইচডি শেষ করার পরে আপনাকে নিউজিল্যান্ডে কাজ করার জন্য অতিরিক্ত দুই বছর সময় দেওয়া হবে, যা আপনার অভিজ্ঞতাকে বাড়িয়ে তুলবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, পশ্চিমা দেশগুলোতে আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য পিএইচডি করা বেশ ব্যয়বহুল। তবে নিউজিল্যান্ড ব্যতিক্রম। তারা স্থানীয় এবং আন্তর্জাতিক ছাত্রদের মধ্যে কোনো পার্থক্য করে না। আপনি বছর ৪ হাজার ডলার খরচে পিএইচডি করতে পারবেন। পিএইচডি চলাকালীন আপনার বাইরে কাজের সুযোগ তো থাকছেই আবার বিশ্ববিদ্যালয় বা সরকার থেকে তহবিল মঞ্জুর করলে আপনাকে সেখানে টিউশন ফি দিতে হবে না।
নিউজিল্যান্ডে স্নাতক এবং মাস্টার্স অধ্যায়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের সাপ্তাহিক গড়ে ২০ ঘন্টার মত কাজ করার অনুমতি দেওয়া হয়। আর আপনি যদি একজন পিএইচড’র শিক্ষার্থী হন তবে সেখানে আপনি যতক্ষণ ইচ্ছা কাজ করতে পারবেন।
উচ্চশিক্ষা শেষে কাজ ও স্থায়ী বসবাসের সুযোগ
নিউজিল্যান্ডে অধ্যয়ন শেষে শিক্ষার্থী ভিসাকে কাজের ভিসাতে পরিবর্তনের সুযোগ প্রদান করা হয়। নিউজিল্যান্ডই একমাত্র দেশ যেখানে মাত্র দুই থেকে তিন বছর থাকার পর আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীরা স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য আবেদন করার সুযোগ পায়। নিউজিল্যান্ডের রাষ্ট্রীয় ভাষা হলো ইংরেজি।
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কঠিন প্রতিযোগিতা নেই বা উচ্চতর ডিগ্রির কোর্সে ভর্তির জন্য অনেক বেশি যোগ্যতারও প্রয়োজন নেই। এই ধরনের নমনীয়তার পিছনে কারণ হলো, নিউজিল্যান্ড সরকার তাদের উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার বিকাশের জন্য প্রচুর পরিমাণে অর্থ বিনিয়োগ করে। আর তাই, ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীর সংখ্যার চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষমতা বেশি।
কখনও কখনও যদিও কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ে আইইএলটিএসের প্রয়োজন হয়, তবে সেক্ষেত্রেও আপনার পূর্বের পড়াশোনা ইংরেজি মাধ্যমে হলে ছাড় দেওয়া হয়। তাছাড়া, নিউজিল্যান্ড অভিবাসনের জন্য আপনাকে জীবনযাত্রার ব্যয়ের জন্য অনেক বেশি সঞ্চয় দেখাতে হবে না। আপনার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে মাত্র ৮ থেকে ১০ লাখ টাকা দেখালেই চলবে। আপনাকে যেটি সবচেয়ে গুরুত্ব দিয়ে উপস্থাপন করতে হবে তা হলো- আপনি নিউজিল্যান্ড থেকে ডিগ্রী পেতে সত্যিকার অর্থে প্রচণ্ড আগ্রহী।
নিউজিল্যান্ডে নিচের স্তর ভেদে উচ্চশিক্ষায় পড়াশোনা করা যায়ঃ
* ব্যাচেলর্স ডিগ্রি
* মাস্টার্স ডিগ্রি
* ডক্টরাল ডিগ্রি
* ল্যাঙ্গুয়েজ কোর্স
* ফাউন্ডেশন বা কালচারাল কোর্স
* স্বল্প মেয়াদী সার্টিফিকেট কোর্স ডিপ্লোমা কোর্স
* ডিপ্লোমা কোর্স
আপনি কি কি বিষয়ে অধ্যায়ন করতে পারবেনঃ-
* এপ্লায়েড সায়েন্স
* টেকনোলোজি ইঞ্জিনিয়ারিং
* বিজনেস ম্যানেজমেন্ট
* ম্যাথেম্যাটিক্স
* এগ্রিকালচার ডিজিটাল ডিজাইন
* ফ্যাশন এন্ড ডিজাইন
* ফুড এন্ড হসপিটালিটি
যে যে যোগ্যতার প্রয়োজন হয়ে থাকেঃ-
PhD / Doctoral ডিগ্রির জন্যঃ-
* ২ বছরের কাজের অভিজ্ঞতা।
* মাস্টার্স ডিগ্রি সনদ (থিসিস সহ)।
* ব্যাচেলর্স ডিগ্রি সনদ (থিসিস সহ) ।
* গবেষণা পত্র।
* উচ্চ মাধ্যমিক সনদ।
* মাধ্যমিক সনদ ।
* রেকমেন্ডেশন লেটার।
* IELTS Band Score কমপক্ষে 6.5 ।
* SOP বা Statement of Purpose (যেখানে অবশ্যই Extra-Curricular কাজগুলির উল্লেখ থাকতে হবে) ।
* CV বা Resume ।
মাস্টার্স ডিগ্রির জন্যঃ-
* ব্যাচেলর্স ডিগ্রি সনদ (থিসিস সহ)।
* গবেষণা পত্র (যদি থাকে) ।
* উচ্চ মাধ্যমিক সনদ ।
* মাধ্যমিক সনদ ।
* IELTS Band Score কমপক্ষে 6.0 ।
* রেকমেন্ডেশন লেটার ।
* SOP বা Statement of Purpose (যেখানে অবশ্যই Extra-Curricular কাজগুলির উল্লেখ থাকতে হবে)।
* CV বা Resume।
ব্যাচেলর্স ডিগ্রির জন্যঃ-
* উচ্চ মাধ্যমিক সনদ ।
* মাধ্যমিক সনদ ।
* IELTS Band Score কমপক্ষে 5.5 ।
* রেকমেন্ডেশন লেটার ।
* SOP বা Statement of Purpose (কেনো পড়তে যাচ্ছি এবং কেনো ঐ বিশ্ববিদ্যালয় পছন্দ করেছি, সেটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে) ।
* CV বা Resume ।
ফাউন্ডেশন কোর্সের জন্যঃ-
* উচ্চ মাধ্যমিক সনদ ।
* মাধ্যমিক সনদ ।
* IELTS Band Score কমপক্ষে 5.5।
* রেকমেন্ডেশন লেটার ।
* SOP বা Statement of Purpose (কেনো পড়তে যাচ্ছি এবং কেনো ঐ কোর্স পছন্দ করেছি, সেটা অবশ্যই উল্লেখ করতে হবে)।
* CV বা Resume ।
নিউজিল্যান্ডের বিভিন্ন স্কলারশিপঃ-
নিউজিল্যান্ডের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রতি বছর নানা ধরনের স্কলারশিপের সুযোগ প্রদান করে থাকে । যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা খুব সহজেই ফুল-ফ্রি বা আংশিক মুল্যে প্রদানের মাধ্যমে সহজেই নিজের পড়াশোনা শেষ করতে পারে। এছাড়া পার্টটাইম চাকুরি তো থাকছেই।
নিউল্যান্ডের কিছু উল্লেখযোগ্য স্কলারশিপ
• New Zealand International Scholarship.
• UC International First Year Scholarship.
• University of Auckland International Student Excellence Scholarship.
• ADB Scholarships at University of Auckland .
• Tongarewa Scholarship.
• Wellington Master’s by Thesis Scholarship.
• Wellington Doctoral Scholarships.
• University of Otago International Research Masters Scholarships .
• University of Otago Doctoral Scholarships.
• University of Waikato International Excellence Scholarships.
• University of Waikato Doctoral Scholarships.
নিউজিল্যান্ডের ভিসা সম্পর্কিত তথ্যাবলি
নিউজিল্যান্ডে ভ্রমণের উদ্দেশ্যের উপর নির্ভর করে বিভিন্ন ধরণের ভিসা রয়েছে। আপনি যদি নিউজিল্যান্ডে পড়াশোনা করার জন্য যেতে চান কিংবা শুধুমাত্র ট্র্যাভেলিংয়ের জন্য যেতে চান অথবা নিউজিল্যান্ডে বসবাসের জন্য যেতে চাইলে আপনাকে বিভিন্ন ধরণের ভিসা গ্রহণ করতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার জন্য আবেদন করতে হলে যেসব ডকুমেন্টের প্রয়োজন পড়বে সেগুলো হচ্ছে,
* নিউজিল্যান্ডের স্টুডেন্ট ভিসার পূরণ করতে হবে।
* দুই কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি। ছবিগুলো অবশ্যই সত্যায়িত করতে হবে।
* আপনার অরিজিনাল পাসপোর্টের কপি।
* ব্যাংক ব্যালেন্সের সাথে ট্র্যাভেল কনফার্মেশন লেটারের কপি।
‘* কেন আপনি নিউজিল্যান্ডে যেতে চাইছেন’ এই বিষয়ের উপর একটি কাভার লেটার।
* আপনার ফ্লাইট সম্পর্কিত সব ধরণের তথ্য ও টিকেটের কপি।
* রিপাবলিক অফ নিউজিল্যান্ডের অন্তর্ভুক্ত যেকোনো একটি হোটেল রিসার্ভেশনের কপি।
* আপনার সিভিল স্ট্যাটাস বোঝানোর জন্য বিয়ের সার্টিফিকেট অথবা জন্ম নিবন্ধন পত্রের কপি।
* এনরোলমেন্টের সত্যায়িত কপি।
* নিউজিল্যান্ডের যে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে চাইছেন সেখান থেকে অ্যাকাডেমিক ডকুমেন্ট, ট্রান্সক্রিপ্ট, ডিপ্লোমা বা ডিগ্রি সার্টিফিকেট, টেস্টিমোনিয়াল ইত্যাদির কপি।
টিউশন ফিসহ পেমেন্ট রিসিট।
যেভাবে ভিসার জন্য আবেদন করবেন
স্টুডেন্ট ভিসার ধরন নির্বাচন করে, ভিসার আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করুন। তারপর সেটা পূরণ করে অনলাইনেই আবেদন করুন। উল্লেখ্য যে, আপনি যেকোনো ট্র্যাভেল এজেন্সি অথবা নিউজিল্যান্ড ভিসা অ্যাপ্লিকেশন সেন্টার থেকেও ভিসার আবেদন ফর্ম সংগ্রহ করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আলাদা সার্ভিস ফি প্রযোজ্য। আবেদন করার পর, বিভিন্ন সাপোর্টিং ডকুমেন্টেশন ভিসার আবেদন ফর্মের সাথে সংযুক্ত করতে হবে। সাপোর্টিং ডকুমেন্ট ওয়েবসাইট থেকে স্ক্যান করাতে হবে। নিউজিল্যান্ড ভিসা সাপোর্টেড অফিসে সকল ধরনের সাপোর্টিং ডকুমেন্টের কপি জমা দিতে হবে।
যদিও এই ধাপটি সবার জন্য প্রযোজ্য নয়। আপনার ভিসা আবেদন ফর্মের সাথে সাপোর্টিং ডকুমেন্টে যদি কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে সে সমস্যার সমাধান করার জন্যই আপনাকে ভিসা অফিসে যেতে হবে।
নিউজিল্যান্ডের বসবাসের অবস্থা কেমন?
নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া ও পরিবেশ অসাধারণ। পড়ালেখার পাশাপাশি আপনি চাইলে ভ্রমণেও মনোযোগ দিতে পারবেন। নিউজিল্যান্ড মূলত সোভেরিয়ান আইল্যান্ড দেশগুলোর অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় সম্পূর্ণ নিউজিল্যান্ডেই প্রকৃতির অসাধারন রূপ দেখতে পাবেন। নিউজিল্যান্ডের প্রায় প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের সাথে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন অ্যাক্টিভিটির সাথে জড়িত থাকার সুযোগ পাবেন। প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়েই বিভিন্ন ধরণের ক্লাব রয়েছে। বসবাসের অবস্থানের উপর ভিত্তি করে আপনি চাইলে প্রত্যেক মাসে ১০০০০ টাকা থেকে ২০০০০ টাকা খরচ করে ভালোমানের স্টুডেন্ট হোস্টেলে থাকতে পারবেন।